বাংলাদেশে ৫ই আগস্ট ২০২৪ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ব্যাপক বিক্ষোভ ও ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে। বিক্ষোভকারীরা মূলত সরকারী চাকরির কোটা সংস্কারের বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু করলেও তা দ্রুতই প্রধানমন্ত্রী হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে বড় আকারের আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলনের কারণে অন্তত ৬০০ জন নিহত হন, এবং সহিংসতা চরমে ওঠে। ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।
এরপর সামরিক বাহিনী একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তার সরকারের প্রধান কাজ হলো দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা, দুর্নীতি প্রতিরোধ করা, এবং নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা। তবে পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্থিতিশীল নয়; বিশেষ করে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন চলছে এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও অবনতির দিকে যাচ্ছে।
বর্তমানে বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) ক্ষমতায় আসার প্রধান দাবিদার হিসেবে দেখা হচ্ছে, এবং তারা দ্রুত নির্বাচন দাবি করছে। কিন্তু যদি তাড়াতাড়ি নির্বাচন না হয়, তা হলে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে【14†source】【15†source】【16†source】।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচাইতে আলোচিত বিষয় হচ্ছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন বিক্ষোভ মিছিল পরিচালনা করছে।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম হতে এই মুহূর্তে জানা গেছে প্রধান উপদেষ্টা ভবন যমুনাতে রাষ্টপতির পদত্যাগ দাবিতে একটি বৈঠক করা হয়েছে এবং সেখানে রাষ্ট্রপতি সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে তিনি পদত্যাগ করবেন না।
সবকিছু পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায় এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মার্শাল ল' জারি করার অবস্থানে পৌঁছে গেছে এবং অতি শীঘ্রই এই ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।