**সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের তথ্য ভুয়া**
**তারিখ:** জানুয়ারি ৩, ২০২৫
**নয়া বার্তা ডেস্ক**
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করেছে বলে যে গুজব ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুয়া। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হাসনাতকে ঢাকা সেনানিবাসে আটকের পর পাঁচ ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এমন দাবি নকিব আশরাফ নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে পোস্ট করেন। তবে এই দাবির কোনো ভিত্তি নেই।
### **গুজবের উৎপত্তি**
ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়, সেনাপ্রধানের কাছে ঢাবির তিন জামায়াতপন্থী শিক্ষক এবং চার উপদেষ্টা করজোড়ে অনুরোধ করে হাসনাতকে মুক্ত করেন। পোস্টটিতে আরও দাবি করা হয়, ছেড়ে দেওয়ার আগে হাসনাতকে দুই ঘণ্টা ফ্লোরে উপুড় করে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
### **প্রমাণিত সত্য**
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই দাবিটি ভুয়া। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসনাত ঢাকায় ছিলেন না। তিনি কুমিল্লার দেবীদ্বারে জাতীয় নাগরিক কমিটির একটি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং স্থানীয় দৈনিক কুমিল্লার কাগজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে।
### **মূলধারার গণমাধ্যমের প্রতিবেদন**
জাতীয় দৈনিক *প্রথম আলো* এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওইদিন সন্ধ্যায় হাসনাত দেবীদ্বারের একটি রেস্তোরাঁয় বক্তব্য রাখেন। একইদিন সকালে তিনি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
### **আইএসপিআরের বিবৃতি**
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, হাসনাতের গ্রেপ্তারের দাবিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সেনাবাহিনীর এমন কোনো অপারেশন হয়নি।
### **ভুয়া তথ্য ছড়ানোর পদ্ধতি**
অনুসন্ধানে দেখা যায়, একটি ব্লগস্পট সাইটে ভুয়া সংবাদ তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। দেশ টিভির ফেসবুক পেজের একটি ছবি সম্পাদনা করে এই ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয়েছে।
### **উপসংহার**
সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর গ্রেপ্তারের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হয়েছে। মূলধারার কোনো গণমাধ্যমে এমন তথ্য নেই, বরং তার কুমিল্লায় উপস্থিতির প্রমাণ স্পষ্ট। জনসাধারণকে এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হতে এবং যাচাই-বাছাই করে তথ্য গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।