### **বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: আহত ৩ জন**
#### **প্রেক্ষাপট:**
বাংলাদেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ছাত্রসমাজের অধিকারের দাবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে এই আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে।
#### **ঘটনার বিবরণ:**
ঢাকায় অবস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
- **সংঘর্ষের কারণ:**
আন্দোলনের নেতৃত্ব এবং দাবি আদায়ের পদ্ধতি নিয়ে মতবিরোধ থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে এটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
- **আহতরা:**
সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং চিকিৎসা চলছে।
#### **ঘটনাস্থল:**
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংঘর্ষ চলাকালে চেয়ার, টেবিলসহ নানা সামগ্রী ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
#### **প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য:**
- একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব চলছিল। আজ তা সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে।”
- আরেকজন আন্দোলনকারী বলেন, “এমন ঘটনার কারণে আমাদের মূল দাবিগুলো পিছিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই ধরনের সহিংসতা চাই না।”
#### **পুলিশের বক্তব্য:**
পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
#### **আন্দোলনের ভবিষ্যৎ:**
এই সংঘর্ষ আন্দোলনের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। নেতারা ইতোমধ্যে এক জরুরি বৈঠক ডেকেছেন, যেখানে আন্দোলনের শৃঙ্খলা বজায় রাখার কৌশল নির্ধারণ করা হবে।
#### **উপসংহার:**
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি ন্যায়সঙ্গত দাবির ভিত্তিতে শুরু হলেও এই ধরনের সহিংস ঘটনা আন্দোলনের উদ্দেশ্যকে ক্ষুণ্ন করতে পারে। সকল পক্ষের মধ্যে সমঝোতা এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে মতবিরোধ সমাধানের মাধ্যমে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।