### **গৃহযুদ্ধ প্রতিরোধ ও আন্তর্জাতিক চাপে সামরিক শাসনের সম্ভাবনা**
**ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৫:** দেশের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সরকারের ওপর দেশি-বিদেশি চাপ বাড়ছে, যা সামরিক শাসন জারির সম্ভাবনাকে জোরদার করেছে।
#### **বর্তমান পরিস্থিতি**
সম্প্রতি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক স্থাপনায় হামলার পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়ে। ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে সংঘর্ষের ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।
#### **সেনাবাহিনীর অবস্থান**
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করতে পারে। সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে একাধিক বৈঠক করেছেন। গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে কিছু অংশ সামরিক হস্তক্ষেপকে সমর্থন করছে, আবার কিছু অংশ রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে।
#### **আন্তর্জাতিক চাপ ও প্রতিক্রিয়া**
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে সহিংসতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কূটনৈতিক মহল থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যদি সরকার ব্যর্থ হয়, তবে তারা সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অনানুষ্ঠানিকভাবে উৎসাহিত করতে পারে।
#### **সম্ভাব্য পরিণতি**
যদি সামরিক শাসন জারি করা হয়, তবে—
- **গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।**
- **বিরোধী দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ বা সীমিত করা হতে পারে।**
- **আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি বাড়বে।**
- **দেশের অর্থনীতি আরও চাপে পড়তে পারে।**
#### **সরকারের করণীয়**
বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার যদি অবিলম্বে সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমঝোতায় না পৌঁছে, তবে সামরিক শাসনের সম্ভাবনা আরও দৃঢ় হতে পারে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সামরিক বাহিনী আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি। তবে পরিস্থিতির দিকে গোটা দেশ ও আন্তর্জাতিক মহল গভীর নজর রাখছে।