## **করিডোর ইস্যুতে সেনাপ্রধানের অবস্থান: রাষ্ট্রীয় স্বার্থে কৌশলগত নেতৃত্বের নিদর্শন**
**নিজস্ব প্রতিবেদক**
**তারিখ:** ১৯ মে ২০২৫ | ঢাকা
**বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যেই আবার আলোচনায় এসেছে ‘করিডোর ইস্যু’।** এই প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধানের সুস্পষ্ট অবস্থানকে অনেকে বলছেন **রাষ্ট্রীয় স্বার্থে সময়োচিত ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত**।
সূত্র জানায়, সরকারের একটি অংশ যখন মানবিক করিডোরের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারে খাদ্য, চিকিৎসা ও অন্যান্য জরুরি সহায়তা পাঠানোর আলোচনা করছে, ঠিক তখন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়—**“প্রথমে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে, তারপরই করিডোর ইস্যু বিবেচনায় আনা যেতে পারে।”**
#### **সেনাপ্রধানের অবস্থান**
সেনাপ্রধান স্পষ্টভাবে বলেন:
> **“যাদের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি, জনসংখ্যা ও নিরাপত্তা চাপের মুখে, সেই সমস্যার সমাধান না করে আমরা তাদেরকেই সাহায্য পাঠাতে করিডোর খুলে দেব—এটি বাস্তবসম্মত নয়।”**
এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, **মানবিকতা যেমন জরুরি, ঠিক তেমনই জাতীয় নিরাপত্তা ও ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ।**
#### **কেন করিডোর এখনই নয়?**
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে মিয়ানমারে করিডোর দেওয়ার অর্থ হবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকার করে নেওয়া যে বাংলাদেশ শুধু রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ই দিচ্ছে না, বরং **তাদের দীর্ঘমেয়াদি অবস্থানের ব্যবস্থাও নিচ্ছে।** এতে আন্তর্জাতিক চাপ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের রাজনৈতিক চাপ হ্রাস পাবে।
তাছাড়া, এমন করিডোর ব্যবহার করে **মিয়ানমার বা তৃতীয় পক্ষ** রাজনৈতিক সুবিধা নিতে পারে, যা বাংলাদেশের অবস্থানকে দুর্বল করে দিতে পারে।
#### **জনমত ও প্রতিক্রিয়া**
সামাজিক মাধ্যমে এই অবস্থান ব্যাপকভাবে সমর্থন পেয়েছে। অনেকে বলছেন,
> “সেনাবাহিনী জনগণের কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করেছে—আগে রোহিঙ্গাদের ফেরত নাও, তারপর করিডোর।”
বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. আসিফ হোসেন বলেন,
> **“সেনাবাহিনী বিষয়টি যেভাবে দেখছে, তাতে দেখা যাচ্ছে তারা শুধুই সামরিক নয়, কূটনৈতিক দিক থেকেও পরিপক্ব ভূমিকা রাখছে।”**
#### **উপসংহার**
এই মুহূর্তে সেনাপ্রধানের কৌশলগত অবস্থান একটি বার্তা দিচ্ছে—**বাংলাদেশ কোনো অবস্থাতেই জাতীয় স্বার্থের সাথে আপস করবে না।** করিডোর যেমন মানবিক ইস্যু, ঠিক তেমনই এটি একটি ভূ-রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, যেখানে সামান্য ভুল সিদ্ধান্তের মূল্য হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি সংকট।
জনগণ এই অবস্থানে সেনাবাহিনীর পাশে রয়েছে বলেই মত দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। **জাতীয় ঐক্য এবং কৌশলগত দূরদর্শিতার সময় এখনই।**
---
সূত্র: অনলাইন প্লাটফর্ম