**ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের সাত দিনের আল্টিমেটাম: প্রশাসনে চাঞ্চল্য**
**ঘটনার পটভূমি**
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) সাত দিনের আল্টিমেটাম প্রদান করেছে। এই আল্টিমেটামের মূল কারণ হিসেবে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।
**আল্টিমেটামের বিবরণ**
আইসিজে তাদের নোটিশে ড. ইউনূসকে সাত দিনের মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে সন্তোষজনক জবাব দিতে বলেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে আদালত একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
**অভিযোগের প্রেক্ষাপট**
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কিছু মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিশেষ করে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
**ড. ইউনূসের প্রতিক্রিয়া**
ড. ইউনূস এই অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, "আমি সবসময় মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করেছি। এই অভিযোগগুলো আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।"
**সরকারি প্রতিক্রিয়া**
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আইসিজের নোটিশের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং যথাযথ সময়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে। তবে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা এই অভিযোগগুলোকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
**বিশ্লেষকদের মতামত**
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই আল্টিমেটাম বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারা বলছেন, "আইসিজের এই পদক্ষেপ দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে। সরকারকে কূটনৈতিকভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।"
**উপসংহার**
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আইসিজের সাত দিনের আল্টিমেটাম বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতি কীভাবে সমাধান হবে এবং এর প্রভাব কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে, দেশের স্বার্থে এই বিষয়ে সঠিক ও বিচক্ষণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।