**মোদি-ট্রাম্প বৈঠক এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্ব: বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট ও আন্তর্জাতিক চাপ**
**ইনডিপেনডেন্ট ডেস্ক**
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হতে পারেন। এই বৈঠকটি ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, যেখানে কৌশলগত সম্পর্ক, সুরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতার বিষয়গুলি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে। মোদি ১২ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্স সফর শেষ করে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছাবেন এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন।
এদিকে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা চলমান। শেখ হাসিনা, যিনি দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাকে সম্প্রতি আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর থেকেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা একদিকে আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষত ভারত ও আমেরিকার উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডঃ ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তার উপদেষ্টাদের মধ্যে দুর্নীতি এবং অনিয়ম বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা দেশব্যাপী ধর্মীয় সহিষ্ণুতার অভাবের ইঙ্গিত দেয়। এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করছে।
এছাড়া, ইউনুস সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা বাস্তবায়ন নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে। বিরোধী দলগুলোর দাবি, একটি নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। এই সংকটের মধ্যে, ভারত এবং আমেরিকা, যারা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সহযোগী, তাদের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তারা বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
এই পরিস্থিতিতে, মোদি-ট্রাম্প বৈঠকটির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং শেখ হাসিনার পুনরায় ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত এবং আমেরিকা, যাদের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে, বিশেষ করে মানবাধিকার, সুষ্ঠু নির্বাচন এবং হিন্দুদের ওপর হামলার মতো বিষয়গুলোকে সামনে রেখে।
বিপুল অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার দৃষ্টিতে, বাংলাদেশের নেতৃত্বের পরিবর্তন বা পুনর্গঠন দুটি দেশকেই গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। একদিকে, ট্রাম্প ও মোদির বৈঠক এবং অন্যদিকে শেখ হাসিনার পুনরায় ক্ষমতায় আসার আলোচনা, উভয় ঘটনাই দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।