**ড. ইউনুসসহ ২০ উপদেষ্টার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া বার্তা**

 


**ড. ইউনুসসহ ২০ উপদেষ্টার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া বার্তা**  


**ইনডিপেনডেন্ট ডেস্ক**  

প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০০ এএম  


বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসসহ ২০ জন উচ্চপদস্থ উপদেষ্টার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।  


হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার ফলে এই ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না, তাদের সম্পদ জব্দ করা হতে পারে এবং মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন করতে বাধার সম্মুখীন হতে পারেন।  


### **কেন এই নিষেধাজ্ঞা?**  

মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ড. ইউনুস এবং তার সহকর্মীরা নীতিগতভাবে এমন কিছু কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। বিশেষ করে, বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর দমন-পীড়ন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এবং প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতির অভিযোগ আমেরিকার নজরে এসেছে।  


মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র জানান, **"আমরা গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সুশাসনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"**  


### **বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া**  

বাংলাদেশ সরকার এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে, অনানুষ্ঠানিকভাবে সরকারের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে দাবি করা হয়েছে যে, এটি একটি রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের কৌশল। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে পারে এবং ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনতে পারে।  


### **ড. ইউনুসের বক্তব্য**  

নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ড. ইউনুস এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে, তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, তিনি এই সিদ্ধান্তে হতাশ এবং এটি তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন।  


### **আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া**  

এই নিষেধাজ্ঞার পরপরই জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক তৈরি করতে পারে।  


বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এবং বিশেষ করে উপদেষ্টা পরিষদের ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা নতুন করে তীব্র হবে। নিষেধাজ্ঞার ফলে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার মুখোমুখি হতে পারে।  


এই নিষেধাজ্ঞা কীভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে, এটি যে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

Post a Comment

Previous Post Next Post