**সনাতনীদের বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ, বাংলাদেশের লংমার্চের ঘোষণা**
**প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪**
সনাতনী সম্প্রদায়ের আন্তর্জাতিক আন্দোলন ক্রমেই তীব্র রূপ নিচ্ছে। পৃথিবীর ১০৮টি দেশে একযোগে সমাবেশের ডাক দিয়েছে সনাতনী সম্প্রদায়। তাদের দাবি, মহাগুরু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায়, এ আন্দোলন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তারা।
### **বাংলাদেশে লংমার্চের ঘোষণা**
বাংলাদেশে সনাতনী সম্প্রদায় এক ঐতিহাসিক লংমার্চের ঘোষণা দিয়েছে। আগামীকাল সনাতনীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের বাসভবন, যমুনার দিকে লংমার্চ করবে। তাদের দাবি, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে এই লংমার্চ হবে আরো তীব্র আন্দোলনের সূচনা।
### **আন্দোলনের প্রেক্ষাপট**
আজ মহাগুরু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করা হলে সনাতনী সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা এ গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছে। তাদের মতে, এই ঘটনা সনাতনীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে এবং তাদের সাংগঠনিক শক্তিকে দমনের চেষ্টা করছে।
### **বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ**
সনাতনীরা যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর ১০৮টি দেশে একযোগে সমাবেশের আয়োজন করেছে। এর মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। সনাতনী নেতারা জানিয়েছেন, যদি তাদের দাবি উপেক্ষা করা হয়, তাহলে বিশ্বব্যাপী এই প্রতিবাদ দীর্ঘস্থায়ী হবে।
### **ড. ইউনুসের সরকারের ওপর চাপ**
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস ইতোমধ্যেই চাপে পড়েছেন। সনাতনীদের এই লংমার্চ ও আন্তর্জাতিক আন্দোলন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের কী পদক্ষেপ নেয়া হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা।
### **বিশ্লেষকদের মতামত**
বিশ্লেষকরা বলছেন, সনাতনীদের এই আন্দোলন শুধু ধর্মীয় নয়, বরং রাজনৈতিক পরিসরে নতুন উত্তেজনা তৈরি করবে। আন্দোলনটি যদি সফল হয়, তাহলে এটি বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে।
আগামীকাল পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নিয়ে সারা বিশ্বের নজর থাকবে। সনাতনী সম্প্রদায়ের দাবির প্রতি সরকার কীভাবে সাড়া দেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।