এই মুহূর্তে খবর পাওয়া যাচ্ছে, শাহপরান সুরমা গেইট বাইপাসে গুলির ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। চিনির ব্যবসা নিয়ে এই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
সিলেটে চিনির কারবার নিয়ে বিতর্ক এখনও চলছে। নতুন নতুন ঘটনার কারণে সেখানকার পরিস্থিতি অস্থির। রাতে সন্ত্রাসীরা পাহারা বসাচ্ছে এবং দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যদিও সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে চিনি আসত, তখন এ ধরনের ঘটনা দেখা যায়নি। বিজিবি সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও চোরাকারবারিরা চিনির চালান পাচার করছে। সূত্র মতে, পুলিশ ও সিন্ডিকেটের যোগসাজশের কারণে চিনির কারবার নতুনভাবে সক্রিয় হয়েছে, যা পুলিশের বেশ কিছু বিতর্কিত কর্মকর্তাকে আবারও সিলেটে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
এখন যারা মাঠপর্যায়ে রয়েছেন, তারা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। কোম্পানীগঞ্জের দয়ারাবাজার ও বিভিন্ন সীমান্ত রুট চিনি পাচারের জন্য পরিচিত। এলাকাবাসীর মতে, সীমান্ত থেকে আসা চিনির চালান এখন বিভিন্ন নিরাপদ রুটে নামছে এবং সেগুলো গোডাউনে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এসব চিনির পাচার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে জৈন্তাপুরের হরিপুর এলাকা এই পাচারের কেন্দ্রস্থল।
চোরাকারবারিরা এখন নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করছে। পাথর ও বালুবাহী ট্রাকের ভেতর চিনি লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছে। যদিও প্রশাসনের নজরদারি বেড়েছে, তবুও চিনি সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রতিদিন শতাধিক ট্রাকে চিনি পাচার করছে বলে জানা গেছে। সিলেটে চিনির লুটপাট ও চাঁদাবাজির ঘটনা বাড়ছে, যা স্থানীয় প্রশাসনের জন্যও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি’র নেতাদের নামও এই ঘটনায় জড়িয়ে যাচ্ছে, যার ফলে সিলেট বিএনপির মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে এবং দলের পক্ষ থেকে কিছু নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।