**আওয়ামী লীগ নেতার বিতর্কিত মন্তব্য ভাইরাল, শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ**
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এক মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। মৌলভীবাজারসহ সারা দেশে বিষয়টি নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
সম্প্রতি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও জুড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমএ মুঈদ ফারুক বলেন, "টোকাইরা দেশ চালাচ্ছে।" বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের "অভদ্র ও বেয়াদব" বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই বক্তব্য মুহূর্তের মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
শনিবার বিএনপি সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরী শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবাদুর রহমান চৌধুরীর মেয়ে, ব্যারিস্টার জহরত আদিব।
বক্তব্যে মুঈদ ফারুক বলেন, "আজকের বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর নিরাপদ নেই। যদি জানতাম এ দেশ একসময় রাজাকারের হাতে চলে যাবে, তবে মুক্তিযুদ্ধে না গিয়ে আমিও রাজাকার হতাম। কেন স্বাধীন দেশে শিক্ষার্থীরা রাজাকার স্লোগান দেবে?" তিনি আরও বলেন, "আগে দেশে কোনো বৈষম্য ছিল না, কিন্তু এখন সমন্বয়কের নামে 'টোকাই পোলাপান'রা দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছে।" ঢাকার মেয়েদের "সভ্যতা হারিয়েছে" বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মুঈদ ফারুকের এমন মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর জুড়ীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক শিক্ষার্থী তার গ্রেফতারের দাবি জানায়।
এ বিষয়ে মুঈদ ফারুকের প্রতিক্রিয়া জানতে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। অনুষ্ঠানের আয়োজক ব্যারিস্টার জহরত আদিব জানান, তিনি জানতেন না মুঈদ ফারুক আওয়ামী লীগ নেতা এবং তার মন্তব্যের কারণে পুরো অনুষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।