**বাংলাদেশে ‘মার্চ ফর গাজা’—আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ‘মার্চ ফর যমুনা’, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হচ্ছে রাজপথ**
**প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫**
**নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা**
আগামীকাল দেশের রাজপথে নামছে লাখো মানুষ। বিশ্বের নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে পালিত হতে যাচ্ছে **‘মার্চ ফর গাজা’**, যার ডাক দিয়েছে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন, মানবাধিকার ফোরাম ও ছাত্রসমাজ। তবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি এবার পেয়েছে এক ভিন্ন মাত্রা।
বিশেষ করে **আওয়ামী লীগপন্থী সমর্থকরা** এই দিনটিকে ঘিরে ঘোষণা দিয়েছেন **‘মার্চ ফর যমুনা’**—যার লক্ষ্য, **প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনামুখী মিছিলের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে শক্তি প্রদর্শন।**
### ‘মার্চ ফর যমুনা’ কর্মসূচির পেছনে উদ্দেশ্য
আওয়ামী লীগ সমর্থিত একটি ছাত্র সংগঠনের সভাপতি বলেন,
*"ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের একাত্মতা অবিচ্ছেদ্য। তবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের সংকটও এখন চরমে। আমরা বিশ্বাস করি, একটি অগণতান্ত্রিক ও অস্বচ্ছ সরকার পরিচালিত হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে। আগামীকাল শুধু গাজার পক্ষে নয়, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার, নেতৃত্বের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতেও আমরা রাস্তায় নামব।"*
### রাজধানীমুখী সমাবেশ
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ বাস, ট্রাক, বাইক ও পায়ে হেঁটে **‘যমুনার’** দিকে যাত্রা শুরু করবে। এই পদযাত্রা ধীরে ধীরে রূপ নেবে **রাজধানী ঘেরাও কর্মসূচিতে**। তাদের আশা, জনচাপে **প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন**।
### প্রশাসনের সতর্কবার্তা
সরকার পক্ষ থেকে এখনও এই কর্মসূচিকে ঘিরে কোনো কড়া প্রতিক্রিয়া না এলেও, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ঢাকায় প্রবেশের প্রধান সড়কগুলোতে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
### নাগরিক সমাজের প্রতিক্রিয়া
নাগরিক সমাজ দুই মিছিলকে আলাদা না দেখে এটিকে গণচেতনায় উত্থিত একটি গণআন্দোলন বলেই মনে করছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন,
*"এটি কেবল গাজার পক্ষে একাত্মতা নয়—বরং দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এমন একটি মিছিল থেকে বড় কোনো পরিবর্তনের সূচনা হয়ে যেতে পারে।"*
--