শিরোনাম: উত্তাল 'যমুনা' — সেনা বিদ্রোহে ক্ষমতা নিল সেনাবাহিনী, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ঘটল নাটকীয় অভ্যুত্থান
তারিখ: ২৭ মে ২০২৫ | সময়: রাত ১১:১৫ | স্থান: রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন 'যমুনা', ঢাকা
প্রতিবেদক: বার্তা সংস্থা
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ও নাটকীয় মোড়—আজ রাতে রাজধানী ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘যমুনা’তে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার উজ জামান নিজেকে "জাতীয় রক্ষাকর্তা পরিষদের প্রধান" হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।
সূত্র মতে, আজ রাত ১১টা নাগাদ 'যমুনা' ভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক গোপন বৈঠক চলাকালীন হঠাৎ সশস্ত্র সেনা সদস্যরা ভবনটি ঘিরে ফেলে। বৈঠকে উপস্থিত উপদেষ্টা, আমলারা এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, কিছু উপদেষ্টা সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই বক্তব্যের পরপরই সেনাবাহিনীর ভেতরে দীর্ঘদিন জমে থাকা ক্ষোভ চূড়ান্তে পৌঁছায় এবং বিদ্রোহ সংগঠিত হয়।
সেনাপ্রধানের ঘোষণাঃ
সেনাপ্রধান এক রেকর্ডকৃত বিবৃতিতে বলেন,
"দেশের নিরাপত্তা ও জনগণের স্বাধীনতা আজ হুমকির মুখে। উপদেষ্টা সরকারের ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক পক্ষপাত দেশের অস্থিতিশীলতা বাড়িয়েছে। তাই সংবিধানের বাইরে গিয়েও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সেনাবাহিনী দায়িত্ব নিয়েছে।"
তিনি জানান, একটি 'জাতীয় রক্ষাকর্তা পরিষদ' গঠন করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সংবিধান সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে। গণমাধ্যম, বিমানবন্দর, এবং কূটনৈতিক অফিসগুলোর ওপর সামরিক নজরদারি বসানো হয়েছে।
‘যমুনা’ এখন সামরিক ঘাঁটি
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন 'যমুনা'– যেটি এতদিন অন্তর্বর্তী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল– তা এখন সম্পূর্ণভাবে সেনা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ড. ইউনূস কোথায় আছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি এক নতুন বাঁক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের ওপর নিবদ্ধ।