করিডোর ইস্যুতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি: অন্তর্বর্তী সরকার সেনাবাহিনীর চাপের মুখে, একজন উপদেষ্টার গ্রেফতারের প্রস্তুতি
**প্রতিবেদক: বিশেষ প্রতিনিধি**
**প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৫**
রাজনৈতিকভাবে অস্থির সময় পার করছে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। করিডোর ইস্যুতে সামরিক বাহিনীর কৌশলগত আপত্তির পর থেকে সরকারের ভেতরে চরম বিভক্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর শীর্ষ মহল জানিয়েছে, প্রতিবেশী দেশের অনুরোধে প্রস্তাবিত মানবিক করিডোর অনুমোদনের আগে দেশের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ এবং জাতীয় নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।
বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, করিডোর ইস্যুতে একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টার ওপর দীর্ঘদিন ধরেই নজরদারি চালিয়ে আসছিলো সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিদেশি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রেখে করিডোর বাস্তবায়নের জন্য সরকারে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন।
একাধিক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর সাথে ধারাবাহিক বৈঠকে করিডোর পরিকল্পনা স্থগিত রাখার সুপারিশ জানানো হলেও উক্ত উপদেষ্টা তা উপেক্ষা করে আগ বাড়িয়ে আলোচনার আয়োজন করেন। এতে সেনাপ্রধান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান এবং বিষয়টি সরাসরি রাষ্ট্রপতির দৃষ্টিতে আনেন।
বিশ্লেষকদের মতে, করিডোর ইস্যুকে ঘিরে এই মুহূর্তে দেশের ভেতরে "দ্বৈত শাসনের" ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। প্রশাসনের একটি অংশ যেখানে কূটনৈতিক সমাধান চায়, সেখানে সামরিক নেতৃত্ব জাতীয় নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এগোতে চায়।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টার গতিবিধি নজরে রাখার জন্য একটি বিশেষ অপারেশন ইউনিট গঠন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় গ্রেফতারের সম্ভাবনার কথা অস্বীকার করা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে, রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। একাধিক পশ্চিমা দূতাবাস গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণের জন্য নিজস্ব কর্মকর্তা মোতায়েন করেছে বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রপতির দফতর এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
---
বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রভাবশালী উপদেষ্টা বা উক্ত উপদেষ্টা হিসেবে কাকে বোঝানো হয়েছে আপনারা সকলেই জানেন।
নাম প্রকাশ করলে সমস্যা এজন্য এভাবে উপস্থাপন করা হলো
