### দেশরত্ন শেখ হাসিনার দেশে ফেরা: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কঠোর অবস্থান
**প্রেক্ষাপট:**
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে দেশকে সমৃদ্ধি ও উন্নতির পথে পরিচালিত করছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে তার অনুপস্থিতিতে একটি গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি, প্রতারণা ও অবৈধ কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনার দেশে ফেরা ও পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণের সময় এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হবে বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
**লিগ্যাল ও ইল্লিগ্যালদের মুখোমুখি অবস্থান:**
দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন লিগ্যাল উপায়ে এবং তিনি নিজেই এই বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তার অঙ্গীকার সবসময়ই ছিল সুশাসন, আইনের শাসন এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন। তার দেশে ফেরার ঘোষণার পরই দেশের প্রতারক ও বাটপার চক্রগুলো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কারণ তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, এবং পালানোরও সুযোগ দেয়া হবে না।
আইনের বাইরে থাকা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলো যারা দেশের সম্পদ লুটপাট ও জনগণের অধিকার হরণে লিপ্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন এবং বিচার বিভাগকে আরও সক্রিয় করা হবে এই সকল দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে।
**প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা:**
প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার 'শূন্য সহিষ্ণুতা' নীতি অনুসরণ করবে। ইল্লিগ্যাল কর্মকাণ্ডে যুক্ত ব্যক্তিরা যতই শক্তিশালী বা প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুর্নীতি, প্রতারণা, চিটিং ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের সাথে যারা জড়িত, তাদের দেশের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করার কোনো সুযোগ নেই।
**প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী:**
শেখ হাসিনার সরকার ইতোমধ্যেই দেশব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। এফবিআই, সিআইডি এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো প্রতারণা ও দুর্নীতির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে তৎপর রয়েছে। দেশজুড়ে এই সন্ত্রাসী ও প্রতারক গোষ্ঠীর কার্যকলাপ বন্ধ করতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
**দেশের জনগণের প্রত্যাশা:**
বাংলাদেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সুশাসন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দেখেছে, তা অব্যাহত রাখার জন্য তার দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে। দেশের সকল সৎ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক আশা করছেন, শেখ হাসিনার এই কঠোর নীতির ফলে বাংলাদেশ আরও দুর্নীতিমুক্ত ও সমৃদ্ধ একটি দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
**উপসংহার:**
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা শুধু একজন নেত্রীর ফিরে আসা নয়, বরং তা হচ্ছে দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার একটি বড় পদক্ষেপ। লিগ্যালভাবে যারা নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন তাদের জন্য এটি হবে উন্নয়নের সোপান, তবে ইল্লিগ্যাল কার্যক্রমে লিপ্ত প্রতারক, বাটপারদের জন্য এটি হবে শেষ অঙ্কের শুরু। দেশরত্ন শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন—কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং পালানোরও সুযোগ দেওয়া হবে না।