**ইজতেমা ময়দানে হামলা: ২ জন নিহত, নিরাপত্তা জোরদার**
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে শনিবার রাত ১১টার দিকে এক অজ্ঞাত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলেছে এবং হামলার তদন্ত শুরু করেছে।
### **হামলার বিবরণ**
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের উপস্থিতির মধ্যেই হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তুমুল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং মুসল্লিরা আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন।
প্রাথমিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, নিহতরা দুজনেই ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লি ছিলেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
### **নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার**
ঘটনার পরপরই গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো ইজতেমা ময়দানকে ঘিরে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে এবং সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জিএমপি কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেন, **"আমরা আগে থেকেই সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা করছিলাম। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।"**
### **প্রাথমিক সন্দেহ**
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এটি কোনো পূর্বপরিকল্পিত হামলা হতে পারে, যা ইজতেমার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো সংগঠন বা গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।
### **ধর্মীয় নেতাদের আহ্বান**
ধর্মীয় নেতারা শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এবং মুসল্লিদের আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা হামলার দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
### **পরবর্তী পদক্ষেপ**
সরকারি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হামলার কারণ ও জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে, ইজতেমার বাকি কার্যক্রম যেন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর থেকে ইজতেমা ময়দানে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য কড়া নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।